রহস্যজনকভাবে গায়েব ৫ স্কুলছাত্র!

রহস্যজনকভাবে গায়েব – কক্সবাজার জেলা শহর থেকে একইসঙ্গে পাঁচজন স্কুলছাত্রের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ৫ ছাত্রের পরিবারে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়া ছাত্ররা কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কক্সবাজার পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ে ও কোচিংয়ের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে তারা আর ফিরে বাড়ি ফিরে আসেনি।

নিখোঁজ স্কুলছাত্ররা হলো- কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র সাইয়েদ নকীব ও শহরের উত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকার উপাধ্যক্ষ মৌলানা জহির আহমদের পুত্র, ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র এইচ এ গালিব উদ্দিন ও বাজারঘাটা এলাকার অ্যাড. আব্দুল আমিনের বড় পুত্র, ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র শাহরিয়ার কামাল সাকিব ও শহরের বাসটার্মিনাল এলাকার আকতার কামাল চৌধুরীর পুত্র, ৮ম শ্রেণির ছাত্র শাফিন নূর ইসলাম ও বাসটার্মিনাল এলাকার ফয়েজুল ইসলামের ছেলে এবং কক্সবাজার পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। তবে এখন পর্যন্ত তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ ছাত্রদের মধ্যে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র শাহরিয়ার কামাল সাকিব ও শাফিন নূর ইসলাম সম্পর্কে একে অপরের খালাতো ভাই বলে জানা যায়।

সাইয়েদ নকীবের বাবা মৌলানা জহির আহমদ জানান, নকীব সকাল ৭টায় ও ১০টায় দুইটি বিষয়ে প্রাইভেট কোচিং করতে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু, দুটি কোটিংয়ের কোনোটিতেই যায়নি সে। সর্বশেষ ১১টায় তার সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে। প্রাইভেটের টাকা দেয়ার জন্য ৬০০ টাকাও নিয়েছে। ১২টার সময় স্কুল থাকলেও সে স্কুলে যায়নি বলে জানান তিনি।

এদিকে গালিবের বাবা জানান, দুপুর ১২টার সময় স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে এইচ এ গালিব উদ্দিন।

নিখোঁজ সাকিব ও শাফিনের আত্মীয়-স্বজনেরা জানিয়েছেন, তারা দুজনই সকালে বাসটার্মিনাল এলাকার বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। কিন্তু, রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার পরেও তারা আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খোঁজ নিয়েও তাদের কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন জানান, সাকিব ও শাফিনের ব্যাপারে তাদের পরিবারের লোকজন আমাকে ফোন করেছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমি উপস্থিতি খাতা দেখেছি। কিন্তু, তারা বিদ্যালয়ে আসেনি। তবে বাকি দু’জনের অভিভাবকেরা

আমাকে কোনো কিছু জানায় নি বা ফোন করেনি। তাই তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিল কিনা জানতে পারছি না।

হঠাৎ করে ৫ ছাত্র নিখোঁজ হওয়া তাদের পরিবারে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। একইসঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ব্যাপকভাবে চিন্তিত। এমন রহস্যজনকভাবে ছাত্রদের গায়েব হওয়া কিংবা কোথায় যেতে পারে তা কেউ ধারণা করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, পাঁচজন স্কুলছাত্র নিখোঁজের ব্যাপারে থানায় কেউ এখনও কোনো অভিযোগ করেনি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রদের নিখোঁজের ঘটনাটি শোনার পর পুলিশ কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে।